বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে ভারত-বাংলাদেশ ভ্রমণকারী যাত্রীরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানান। তারা বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন হলে আমাদের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। অনেক সময় সন্ধ্যার দিকে আমাদের কাজ শেষ হলেও বেনাপোল চেকপোস্ট বন্ধ থাকার কারণে আমরা বাড়ি ফিরতে পারিনা। বাধ্য হয়ে আমাদের হোটেলে রাত কাটাতে হয়।
ঢাকার ওয়ারীর বাসিন্দা সাজ্জাতুল কবির বলেন, গতকাল বিকালে ভারতের কোলকাতা থেকে পেট্রাপোল চেকপোস্টের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। রাস্তায় যানজটের কারণে পেট্রাপোল চেকপোস্টে এসে পৌছাতে প্রায় সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিট বেজে যায়। এসে দেখি চেকপোস্টের গেট বন্ধ। বাধ্য হয়ে ৫ কিলোমিটার দুরে বনগাঁ শহরে এসে একটি হোটেলে রাত্রী যাপন করতে বাধ্য হই। পরে সকালে চেকপোস্ট অতিক্রম করি।
ভারতগামী বাংলাদেশি যাত্রী কুমিল্লার হোমনার জয়ন্ত কুমার অভিযোগ করে বলেন, ফেরিসহ বিভিন্ন কারণে বাস সন্ধ্যা ৬টার আগে বেনাপোল এসে না পৌঁছালে আমরা ভারতে যেতে পারিনা। বাধ্য হয়ে রাতে হোটেলে থেকে সকালে ভারতে যেতে হয়। এই সমস্যার সমাধান হওয়া খুবই জুরুরি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, প্রতিদিন বেনাপোল স্থল বন্দর দিয়ে চিকিৎসা, ভ্রমণ ও ব্যবসার কাজে প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার যাত্রী ভারত গমন করে থাকে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের দাবির প্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে জানান বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ মফিজুর রহমান সজন। গত জুলাই মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার আদেশ জারি করে বেনাপোল কাস্টমস হাউসকে পত্র দেয়। কিন্তু দীর্ঘ ৫ মাস অতিবাহিত হলেও রাজস্ব বোর্ডের এই আদেশ বাস্তবায়িত হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিন খাঁন পাঠান জানান, যদিও এটা সরকারি সিদ্ধান্ত । ভারতীয় চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ রাজি থাকলে আমাদের কোন সমস্যা নেই। আমাদের জনবলেরও সংকট নেই।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চিঠি বাস্তবায়নের জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরকে চিঠি দেয়া হয়েছে।